সম্পর্কে জড়ালে এগুলো কখনো ছাড়বেন না নইলে নিঃস্ব হয়ে যাবেন

সম্পর্কে জড়ালে এগুলো কখনো ছাড়বেন না নইলে নিঃস্ব হয়ে যাবেন

বন্ধুরা সম্পর্কের শুরু মানেই একজন আরেক জনের অনেক কিছু মানিয়ে নিয়ে একসঙ্গে চলা। সম্পর্কে জড়াবেন তো আপনাকে সেক্রিফাইস বা ছাড় দিয়েই চলতে হবে। তো এখানে আপনার লক্ষণীয় বিষয় হলো যে, সেই ছাড়টি যেন একপ্রেক্ষিক না হয়। দুই পক্ষের সামঞ্জস্যতা মিলেই কিন্তু একটি সম্পর্ক গড়ে। এক পক্ষ ছাড় দিয়ে গেল এবং অন্য পক্ষ পুরোটা উপভোগ করে গেল। যদি এমনটা হয় তাহলে সেই সম্পর্ক রাস্তার হকারদের ওষুধের মত হবে। যখন খাবেন তখনই কাজ অন্য সময় নেই। আপনাকে এটা মাথায় রাখতে হবে যে আপনি আলাদা একটি মানুষ। আপনার সমস্ত পছন্দ অপছন্দ নিয়েই আপনি। তাই যে সম্পর্কে আপনাকে বিসর্জন দিতে হবে এমন সম্পর্ক গড়ে কোনদিন সুখ পাবেন না। এজন্য আজকের আলোচনাতে আমি আপনাদের বলব যে সম্পর্কে জড়ালে যে বিষয়গুলো কখনো ছাড় দেবেন না। কোরবানি, সেক্রিফাইস, ছাড় দেওয়ার জন্য অনেক বিষয় আছে, আমি যে বিষয়গুলো বলবো এগুলো কখনো ছাড় দেবেন না। আপনি ছেলে হোন বা মেয়ে। যদি এই বিষয়গুলো ছাড় দিয়ে আপনি সম্পর্ক করেন। তাহলে আপনি আর আপনি থাকবেন না ওই ছেলে বা মেয়ের গোলাম হয়ে যাবেন। 

নাম্বার -১: আপনার লাইফের সঙ্গে জড়িত ফিউচার টাইম, কখনো ছাড় দেবেন না। বিশ্বের যত বড় সুন্দরী মেয়েই হোক না কেন, তার সাথে যদি রিলেশন করতে যান বা অলরেডি করেন তাহলে কখনোই আপনার লাইফের সঙ্গে জড়িত ফিউচার টাইমের ছাড় দিবেন না। সবাই যখন নতুন নতুন সম্পর্কে জড়ায় বা কোন ছেলে বা মেয়েকে পটানোর চক্করে থাকে। তখন তাদের মাথায় থাকে না যে, কি পরিমাণ সময় তারা ব্যয় করে। আর যখন সম্পর্ক শুরু হয়ে কয়েক মাস পার হয়ে যায়। তখন আর সেই সময় মেনটেন করতে না পেরে দুজনের মাঝে ঝগড়া হয়। এজন্য আপনার পড়াশোনার জন্য বাড়ির কাজকর্ম করার জন্য, বাবার কাজে হেল্প করার জন্য বা আপনার ফিউচার গঠনের জন্য যে সময়টা আপনার বরাদ্দ আছে, সেই সময়টা কখনো রিলেশনের জন্য ছাড় দিবেন না। যদি মেয়েকে সময় দিতে হয় বা ছেলেকে সময় দিতে হয়। তাহলে আপনার ফোন টিপার জন্য খেলাধুলার জন্য, বাজে গল্প করার জন্য আড্ডা দেওয়ার জন্য, যে সময় ছিল, সেই সময় দিন কোন সমস্যা নেই। কিন্তু মাথায় রাখবেন আপনার লাইফের সাথে জড়িত, ফিউচার সাথে জড়িত। এমন সময় কখনো রিলেশনের জন্য সেক্রিফাইস করবেন না বা ছাড় দেবেন না। 

নাম্বার -২: আপনার বেস্ট পছন্দের বিষয়গুলো কখনো ছাড় দিবেন না। আপনার পছন্দ-অপছন্দ সবকিছু ঘিরে, আপনি আপনার জায়গায় ভালো আছেন। রিলেশনে জরানোর জন্য আপনি আপনার সেই পছন্দ গুলো কখনো ছাড় দেবেন না কখনো না। হ্যাঁ এটা মানছি যে আপনার পার্টনারের পছন্দকে গুরুত্ব দেওয়া আপনার কর্তব্য, দায়ীত্ব। কিন্তু আপনার গুলো সেক্রিফাইস করে, আপনার পছন্দকে ছাড় দিয়ে নয়। যেই ড্রেসে আপনার নিজেকে কম্ফোর্টেবল মনে হয় যেটা আপনার পছন্দ। যেই খাবারটি আপনার খুব বেশি পছন্দ। এখন যদি মেয়ে বলে আকাশ! তোমার এসব ড্রেসে পছন্দ তুমি এসব খাবার খাও? এগুলো আমার একদম পছন্দ না। তাহলে কি এখন আপনি বলবেন যে তোমার যেহেতু পছন্দ না তো আজ থেকে ছেড়ে দিলাম। ভুলেও কখনো এমন করবে না, আপনাকে ফালতু কুত্তা বানিয়ে ছাড়বে, নিজের পছন্দকে প্রাধান্য দেবেন। সম্পর্ক শুরু হওয়ার শুরুতেই আপনি আপনার পছন্দের কথা তাকে বলে দিবেন এবং আপনিও কখনো আপনার পার্টনারের পছন্দকে ছাড় দিতে বলবেন না। 

নাম্বার -৩: একমাত্র বাথরুম যাওয়া ছাড়া, আপনার যে ফ্রেন্ড আপনাকে ছাড়তোনা। রিলেশনে জড়িয়ে আপনার সেই ফ্রেন্ড। তিনদিন পর আপনাকে বলছে কই থাকিস তুই দেখি না যে? রিলেশন করে দেওয়ার জন্য যেই ফ্রেন্ড দিনরাত সময় দিয়েছে। আবার রিলেশন ভেঙ্গে যাওয়ার পর সিগারেট খাওয়ার জ,ন্য সান্তনা দেওয়ার জন্য, ভাঙ্গা মনকে ভালো করার জন্য, যেই ফ্রেন্ডরা সঙ্গ দিবে, পাশে থাকবে, রিলেশনে জড়িয়ে সেই বন্ধুদের সঙ্গ কখনো সেক্রিফাইস করবেন না ছাড় দিবেন না। বিয়ের পর বউ এর জন্য জামাইয়ের জন্য সেক্রিফাইস করা বা ছাড় দেওয়া এটা যুক্তিসংগত। কিন্তু গার্লফ্রেন্ড বা বয়ফ্রেন্ডের জন্য বন্ধুদের ছাড় দেওয়া, এটা একদমই অযৌক্তিক। তাই রিলেশনে জড়িয়ে বন্ধুদের সঙ্গ সেক্রিফাইস করবেন না বা ছাড় দিবেন না। 

নাম্বার -৪: আপনি আপনার প্যাশনসকে কখনো ছাড় দিবেন না। আপনি আপনার শখ, হবি ছেড়ে দিন কোন সম্যা নেই, এতে ভালোবাসা বাড়বে। কিন্তু আপনার প্যাশন কখনো সেক্রিফাইস করবেন না। মোটরসাইকেল চালাতে আপনার ভালো লাগে না। কিন্তু আপনার খুব শখ যে আপনি কখনো চালিয়ে দেখবেন কেমন আপনার খুব শখ। রিলেশনের ক্ষেত্রে এটা আপনি ছাড় দিতে পারেন যে বাইক চালালাম না। কিন্তু আপনার যেটা প্যাশন মানে যে কাজটা করলে আপনার মনের তৃপ্তি হয়, যেটা করলে আপনি ভালো থাকেন, আপনার ভালো লাগে আপনার প্যাশন। সেটা কখনো সেক্রিফাইস করবেন না, সেটা কখনোই ছাড় দিবেন না। আর যদি ছাড় দেন তাহলে আপনি যে হাসতে পারেন, আপনার যে ভালো লাগা বলে একটা জিনিস আছে, সেটা আপনি ভুলে যাবেন। 

নাম্বার -৫: আপনার নিজস্ব অ্যাটিটিউড আত্মসম্মান এটা কখনো ছাড় দিবেন না। ঝগড়া কমন একটা ব্যাপার, রিলেমনের মাঝে ঝগড়া হবেই। তো ঝগড়ার মাঝে দোষ যারই হোক না কেন, ঝগড়া থামাতে বা রিলেশন কন্টিনিউ করতে, আপনি আপনার অ্যাটিটিউড, আপনার আত্মসম্মান বোধটাকে ছাড় দিয়ে বারবার তাকে সরি বলেন। আচ্ছা ঠিক আছে দোষ আমারই প্লিজ বাবু এবার একটু ভালো হও। দুদিন পর আবার ঝগড়া আপনি আবারও কানে ধরেছেন এই যে সরি নেক্সট টাইমে আর এমন হবে না এবার একটু হাসো? আবে চুতিয়া বানাচ্ছে বে আর কতবার সরি বলবি বে? আপনি যদি কোন মেয়েও হয়ে থাকেন, খবরদার এমন করবেন না। দোষ যার সে সরি বলবে। ঝগড়া থামানোর জন্য আপনি কেন আপনার আত্মসম্মানবোধ নষ্ট করে বারবার সরি বলবেন? পৃথিবীতে ছেলে মেয়ের অভাব নেই, যে এখন আছে তার চেয়ে ভালো কেউ আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। সো নিজের আত্মসম্মানবোধ, নিজের অ্যাটিটিউড অযথা ছাড় দিবেন না স্যাক্রিফাইস করবেন না। সো গাইস যদি আলোচনাটি ভালো লেগে থাকে তাহলে শেয়ার করবেন ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন গুড বাই।

Related posts

Leave a Comment