যেকোন মেয়ের থেকে নাম্বার চাওয়ার অসাধারন ৫টি চালাকি
হ্যালো বন্ধুরা, বিনাপানি ওয়েব সাইটে আপনাদের স্বাগতম। আজকের আলোচনাতে আমি দেখাবো যে, মেয়েদের থেকে কিভাবে মজাদার স্টাইলে নাম্বার চাইতে হয়। আর আমি আশাবাদী, আপনারা যদি মেয়েদের থেকে কমন স্টাইলে নাম্বার না চেয়ে বরং আমার আলোচনাতে দেখানো মজাদার স্টাইল গুলো ফলো করেন তাহলে আম কথা দিলাম আপনার নাম্বার পাওয়ার সম্ভাবনা বহুগুণ বেড়ে যাবে। তবে আলোচনাটি শুরু করার আগে কিছু কথা না বললেই নয় সেটা হচ্ছে: আপনি যদি কোনো মেয়ের থেকে মোবাইল নাম্বার পেতে চান তাহলে আপনাকে সর্বপ্রথমে স্টেপ -১ অর্থাৎ মেয়েদের থেকে কখন নাম্বার চাইতে হয় এটা জানতে হবে। তারপরে ২য় স্টেপ অর্থাৎ কিভাবে নাম্বার চাইতে হয় সেটা ফলো করতে হবে। তবেই মেয়েদের থেকে ইজিতে নাম্বার পাওয়া সম্ভব। তো আজকের আলোচনাটি মূলত ২য় স্টেপের উপর বানাচ্ছি। আর কিছু দিন আগে আমি ১ম স্টেপ অর্থাৎ কখন নাম্বার চাইতে হয় তার উপর একটা আলোচনা আপলোড করেছি। যেটাতে খুব সুন্দর করে বুঝিয়ে দিয়েছি যে, মেয়েদের থেকে নাম্বার চাওয়ার আগে আপনাকে কি কি কাজ করতে হবে তারপর নাম্বার চাইতে হবে। সেই আলোচনাটি যদি আপনি দেখে না থাকেন তাহলে অবশ্যই অবশ্যই সেটি দেখে নিবেন। তো চলুন আর কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনাটি শুরু করা যাক।
স্টাইল নাম্বার -১: আপনি কোনো মেয়ের থেকে কমন স্টাইলে নাম্বার না চেয়ে বরং মেয়েটির কাছে গিয়ে হাসি হাসি মুখে মজা করে বলতে পারেন। আচ্ছা, তোমার মোবাইল নাম্বারটা নিতে চাইলে কি কি কাগজ পত্র জমা দিতে হবে? ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ফটোকপি আর একটা পাসপোর্ট সাইজের ছবি হলে হবে না? নাকি চারিত্রিক সার্টিফিকেটও লাগবে? এটা শুনে যে কোনো মেয়েই অনেক মজা পাবে এবং হাসবে। সাথে আপনিও হালকা মুচকি হাসি রাখবেন মুখে। এবার দেখুন মেয়েটি আপনার সাথে অনেক ইন্টারেস্ট নিয়ে কথা বলবে। ফলে আপনার নাম্বার পাওয়ার সম্ভাবনা বহুগুণ বেড়ে যাবে।
স্টাইল নাম্বার -২: তোমার নাম্বারটা কি পেতে পারি? সবাই এই একই স্টাইলে নাম্বার চায়। তাই মেয়েরা এটা শুনতে শুনতে বোরিং হয়ে গেছে। এজন্য আপনি এই কথাটি কমন স্টাইলে না বলে এভাবে বলতে পারেন। আচ্ছা, তোমার মোবাইলে কল করে কেউ যদি মাঝে মাঝে তোমার খোঁজ খবর নেয় তাহলে তুমি কি খুব বিরক্ত হবে? মেয়ে এটা শুনে প্রথমে হয়তো এটা ওটা প্রশ্ন করতে পারে। যেমন: কেনো? কি হয়েছে? ইত্যাদি। তখন আপনি বলবেন আগে আমার প্রশ্নের উত্তর দাও। তোমার মোবাইলে কল করে কেউ যদি মাঝে মাঝে তোমার খোঁজ খবর নেয়। তাহলে তুমি কি খুব বিরক্ত হবে? ৯৯% মেয়েই বলবে না। তখন আপনি মুসকি একটা হাসি দিয়ে বলবেন তাহলে তোমার নাম্বারটা আমাকে দাও। আমার মতে এই স্টাইলটি সবথেকে বেশি ভালো। কারণ ১ম কথা আপনি নাম্বার চাওয়ার আগেই কৌশলে জানিয়ে দিলেন যে, আপনি জাস্ট তার খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য নাম্বার চাচ্ছেন। ২য় কথা আপনি কৌশলে মেয়ের মুখ থেকেই বের করে নিলেন যে, এটাতে তার কোনো আপত্তি নাই।
স্টাইল নাম্বার -৩: এর আগের ২টি স্টাইলে আমি হাসি মুখে নাম্বার চাওয়ার কথা বললাম। বাট এবার হবে উল্টাটা। অর্থাৎ আপনি হালকা সিরিয়াস একটা ভাব নিয়ে মেয়েটিকে বলতে পারেন। আচ্ছা, আমি যদি তোমার থেকে মোবাইল নাম্বার চাই তাহলে তোমার নাম্বার চাওয়ার অপরাধে আমার কি ফাঁসি হবে? নাকি যাবৎ জীবন কারাদন্ড হবে? কোন মেয়ের থেকে এভাবে নাম্বার চাইলে জীবনেও কোন মেয়ে রাগ হবেনা। কারণ মেয়েটি রাগ হওয়ার মতো কোন ফাঁক খুজে পাবেনা। আর পাশাপাশি আপনার এমন মজার কথা শুনে যে কোনো মেয়ে অনেক মজা পাবে এবং হাসবে। তখন আপনি মিষ্টি করে মেয়েটিকে বলবেন যাবৎ জীবন কারাদন্ড দাও বা ফাঁসিই দাও তবও তোমার নাম্বারটা চাই।
স্টাইল নাম্বার -৪: আপনি যে মেয়ের সাথে একটু কথা বার্তা বলেছেন এবং আপনি বুঝতে পারতেছেন যে, আপনি যদি মেয়েটির থেকে এমনিতেই নাম্বার চান তো মেয়েটি হয়তো দিয়ে দিবে। তো এমন ক্ষেত্রে সাদামাটা ভাবে নাম্বারটা না চেয়ে বরং মজাদার স্টাইলে নাম্বারটা চেয়ে মেয়েটিকে মজা দিতে আপনি তাকে এটা বলতে পারেন। তোমার মোবাইলের রিংটোনটা তোমার শুনতে কেমন লাগে? মেয়েটি তখন অবশ্যই বলবে ভালোই তো লাগে। কেন? তখন আপনি মুচকি একটা হাসি দিয়ে মজা করে বলবেন তাহলে তোমার মোবাইল নাম্বারটা দাও। আমি মাঝে মাঝে তোমার রিয় টেন টা বাজিয়ে দিবো। তো এটা শুনে মেয়েটি অবশ্যই মজা পাবে এবং বুঝতে পারবে যে, আপনি আসলে তার নাম্বারটা চাচ্ছেন। তো আমি মনে করি মেয়েটি নাম্বার দিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে। তবে মেয়েটি যদি মজা করে এমন কথা বলে যে, আমার রিংটোন তোমাকে বেজে দিতে হবেনা। তখন মজা করে বলতে পারেন ওকে! আমি কল দিলেই রিসিভ করিও। তাহলেই আর রিং টোন বাজবেনা ইত্যাদি যে কোন মজাদার কিছু বলতে পারেন।
স্টাইল নাম্বার -৫: আপনি যে মেয়ের থেকে নাম্বার নিতে চাচ্ছেন আপনার যদি মনে হয় যে, সে সহজে নাম্বার দিতে চাইবেন। অনেক চিন্তা ভাবনা করবে, টেনশন করবে, তাহলে আপনি তাকে এভাবে বলতে পারেন। তোমার মোবাইল নাম্বারটা দাও এটা শুনে মেয়েটি কিছু বলার আগেই আপনি বলবেন আরে! টেনশনের কি আছে? তোমার হৃদয়ও চাচ্ছিনা। তোমার কিডনিও চাচ্ছি না। জাস্ট তোমার মোবাইল নাম্বারই তো চাচ্ছি! সো, টেনশন নিয়োনা দিয়ে দাও। এটা শুনে মেয়েটি অনেক হাসবে এবং মজা পাবে আপনার কথা শুনে। পাশাপাশি আপনি যেহেতু তাকে মজার ছলে বোঝালেন যে, কোনো টেনশন নাই আপনি তো জাস্ট তার নাম্বারই চাচ্ছেন তো এতে টেনশনের কি আছে? এটা শুনে মেয়েটি আপনাকে নাম্বার দিয়ে দিতে উৎসাহিত হবে। তো বন্ধুরা, আবার বলতেছি, এই আলোচনাতে দেখানো স্টাইলগুলো ফলো করার আগে অবশ্যই আগের আলোচনাটি অর্থাৎ কখন নাম্বার চাইতে হয় এই আলোচনাটি অবশ্যই পড়ে নিবেন। এই যে শোনেন শোনেন এখনি না আমার আরও কথা বলার আছে। আচ্ছা, মেয়েরা তো স্বার্থপর হয় তো আপনি ছেলে হয়ে স্বার্থপরের মতো আচরণ করেন কেনো? আমি ৭-৮ ঘনটা সময় ব্যয় করে আপনাদের জন্য আলোচনা বানাই। আর সেই আলোচনাটি দেখার পর আপনার মতামত কমেন্ট করে জানানোর জন্য কয়েক সেকেন্ডও সময় ব্যয় করতে পারেন না? কিছু ছেলে আছে নিয়মিত আমার সকল আলোচনাতে কমেন্ট করে কতো ভালো লাগে। আহ! জেনো পরানটা ভরে যায় এরা হচ্ছে লক্ষি ছেলে। আর কিছু ছেলে আছে ডুবিয়ে ডু্বিয়ে জল খেয়ে যাচ্ছে কিন্তু কমেন্ট করতেছেনা। এদের জন্য বদদোয় দিলাম তোমরা সারা জীবন অন্যের গার্লফ্রেন্ড দেখে শুধু জ্বলবে। বাট নিজে গার্লফ্রেন্ড জুটাতে পারবে না। তো আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন বাই।