মেয়ে চিনার ১০০% সঠিক উপায় ?
হ্যালো বন্ধুরা বিনাপানি ওয়েব সাইটটি পড়ায় আপনাকে স্বাগতম। আশা করি অনেক ভালো আছেন। আজ আমি যে আলোচনাটি নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি তা হল ২ মিনিটে জেনে নিন আপনি ফেসবুজে কার সঙ্গে কথা বলছেন। সে ছেলে না মেয়ে ফেক আইডি চেনার ৫টি ১০০% কার্যকরী কৌশল। বর্তমানে ফেক আইডি চেনা বড়ই দুষ্কর ব্যাপার হয়ে উঠেছে এবং ফেক আইডির অত্যাচারে আমরা সবাই অত্যাচারিত। কোন ভাবেই বুঝতে পারি না যে সে ছেলে না মেয়ে প্রোফাইল পিক থেকে শুরু করে নাম পর্যন্ত এবং অনেক কিছুই মেয়েদের মত করে সাজানো থাকে। যা দেখে আপনি হয়তো কোন ভাবেই বুঝতে পারেন না যে এটি মেয়ের আইডি না ছেলের আইডি। এমন হয়ে যায় যে আপনি ফেক আইডির পাল্লায় পড়ে মাসের পর মাস দিনের পর দিন কথা চালিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু বুঝতে পারছেন না যে সে আসলেই মেয়ে কিনা। তাই আপনাদের কথা ভেবে এবং অনেকের রিকোয়েস্ট আমি ফেক আইডি চেনার বা আপনি কার সাথে কথা বলছেন সে ছেলে না মেয়ে এটা চেনার ৫টি কৌশল নিয়ে হাজির হয়েছি। আলোচনাটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখবেন তাহলে পুরোপুরি বুঝতে পারবেন। তো চলুন ফেক আইডি চেনার ৫টি কৌশল জেনে নেওয়া যাক
নাম্বার -১: প্রথমে আপনি তার ফ্রেন্ড লিস্টটা চেক করতে পারেন। কারণ দেখবেন ফেক আইডির ক্ষেত্রে তার অনেক ফ্রেন্ড হয়ে থাকে। যারা বিভিন্ন জায়গার বা বিভিন্ন রকমের মানুষ হয়ে থাকে। যেমন ধরুন: আপনি একজন কলেজ স্টুডেন্ট আপনার আপনার আইডিতে আপনার কলেজের অনেক ফ্রেন্ড থাকবে বা আপনার এলাকার অনেক পরিচিত মানুষ থাকবে। কিন্তু যারা ফেক আইডি চালায় তাদের আইডিতে লক্ষ্য করে দেখবেন সব জায়গায় সব রকমের মানুষ তাদের ফ্রেন্ড এবং তাদের ফ্রেন্ড এর পরিমাণ অনেক বেশি হয়ে থাকে। কারণ তারা সব ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট একসেপ্ট করতে দ্বিধা করে না। আর ওরজিনাল মেয়েদের ক্ষেত্রে তারা অপরিচিত মানুষদের রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করতে ৩ বার হলেও ভেবে থাকে। অরিজিনাল মেয়েদের সাথে ফেসবুকে বন্ধুত্ব করতে চান? কি করলে অপরিচিত মেয়ে আপনার ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করবে এবং আপনার সঙ্গে ফেসবুকে বন্ধুত্ব করবে এই নিয়ে আমি পরবর্তী আলোচনা করার চেষ্টা করবো।
নাম্বার -২: ছেলে ফ্রেন্ড বেশি থাকবে। যারা মূলত ফেক আইডি চালায় বা মেয়ে সেজে ছেলেদের বোকা বানায় তাদের আসলে লক্ষ্য থাকে ছেলেদের প্রতি বা তারা ছেলেদের দিকে নজর বেশি দিয়ে থাকে। কারণ ছেলেদেরকে বোকা বানানো হয় তাদের মূল উদ্দেশ্য। তাই তারা যে কোন ছেলের ফেন্ড রিকোয়েস্ট খুব সহজেই একসেপ্ট করে। কিন্তু লক্ষ্য করে দেখবেন ওরজিনাল মেয়ের আইডির ক্ষেত্রে ছেলে বন্ধু বা ছেলে ফ্রেন্ড খুব কম থাকে।
নাম্বার -৩: মেসেজ এর রিপ্লাই খুব তাড়াতাড়ি দিচ্ছে এবং আপনি যা শুনতে চাচ্ছেন তা সহজেই বলছে। তাহলে বুঝে নিন এটি মেয়ে নয় ছেলে। কারণ আমি এ ব্যাপারে রিসার্চ করে দেখেছি যে অধিকাংশ মেয়েরাই অপরিচিত মানুষের সাথে সহজে কথা বলতে চায় না বা এস এম এস এর রিপ্লাই সহজে দিতে চায় না। যদিও বা দেয় তাহলে দেখবেন আপনি যা জিজ্ঞেস করছেন তার উল্টা রিপ্লে দিচ্ছে। আর প্রতিটি কথার মাঝে আপনাকে বলবে আমি আপনাকে চিনি না বা কে আপনি আপনার সাথে কেন কথা বলব এরকম কথা বলে থাকে। তারা সহজেই আপনার সাথে পরিচিত হয়ে যায়। তাই এ লক্ষণগুলো দেখলে কনফার্ম হয়ে নিন এটি ফেক আইডি। ফেসবুকে সত্যিকারের মেয়েদের সাথে কিভাবে চ্যাট করতে হয় বা তার প্রেমে ফেলানো যায় এ নিয়ে আমার অনেক আলোচনা আছে আপনারা চাইলে আলোচনা গুলো পড়তে পারেন।
নাম্বার -৪: আপনি তার স্ট্যাটাস লক্ষ্য করতে পারেন দেখবেন যদি তার স্ট্যাটাসে অপরিচিত মানুষের কমেন্ট অনেক বেশি থাকে ফেক আইডর ক্ষেত্রে দেখবেন তার ট্যাগ থেকে শুরু করে সব নতুন নতুন মানুষদের আনাগোনা হয়ে থাকে। নতুন মানুষদের কমেন্ট যেমন আপনি অনেক সুন্দর আপনার লেখাগুলো অনেক ভালো সুপার, নাইস, বিউটিফুল। আপনি দেখতে সত্যিই অনেক সুন্দর এরকম হাজারো কমেন্ট পড়ে থাকে। কিন্তু অরজিনাল আইডির ক্ষেত্রে তার স্ট্যাটাস লক্ষ্য করে দেখবেন পরিচিত মানুষদের কমেন্ট অনেক বেশি থাকবে তার বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয় স্বজনদের কমেন্ট থাকবে। আর বন্ধু-বান্ধবদের কমেন্ট মানে বুঝতে পারছেন হাজার সুন্দর স্ট্যাটাস হোক না কোন না কোন ভুল বের করার চেষ্টা করবেই। সম্পূর্ণ আলোচনাটি পড়তে নিচের লিংকটিতে ক্লিক করুন।
https://www.youtube.com/watch?v=1exhjmE83co