99%মেয়ে ইম্প্রেস হতে বাধ্য যদি এভাবে নিজেকে প্রকাশ করতে পারেন

99%মেয়ে ইম্প্রেস হতে বাধ্য যদি এভাবে নিজেকে প্রকাশ করতে পারেন

হ্যালো ফ্রেন্ডস ওয়েলকাম। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমি সফিক আপনাদের মাঝে আবারো নতুন একটা আলোচনা নিয়ে হাজির হয়েছি। তো বন্ধুরা আজকের আলোচনা থেকে আপনারা জানতে পারবেন কিভাবে আপনি নিজেকে প্রকাশ করলে আপনার পছন্দের মানুষকে ৯৯% পটাতে পারবেন।

যদি আপনি এগুলো ফলো করেন তাহলে গায়ে ফগ লাগালে মেয়েরা যেমন পিছে পড়ে যায় তেমন আপনাদের পেছনেও মেয়েদের লাইন ধরে যাবে। তো বন্ধুরা আর সময় না বাড়িয়ে চলুন মুল আলোচনায় যাওয়া যাক। 

নাম্বার -১: সুন্দর ও পৃথক ব্যক্তিত্ব। বন্ধুরা আপনার চেহারা সুন্দর হোক বা না হোক তাতে কোনো কিছু আসে যায় না। একজন ব্যক্তিত্ববান মানুষকে সবাই পছন্দ করে। বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী আর তার ওয়াইফকে দেখুন সে তো খুবই ইয়ং একটা মেয়ে তার পরেও ৬০, ৭০ বছরের বুড়োকে কেন বিয়ে করলো? কারণ তার আলাদা একটা ব্যক্তিত্ব আছে, আলাদা একটা পরিচয় আছে।

বন্ধুরা যারা স্টার চাই সে খেলোয়ার হোক বা অভিনেতা হোক দেখবেন তাদের সবার কিন্তু আলাদা আলাদা ব্যক্তিত্ব আছে এবং সেই প্রতিভাটি তার আশেপাশের আর দশজনের চাইতে হাজারগুণ বেটার এবং এদের ব্যক্তিত্ব এতটা স্ট্রং যে আপনি এদেরকে নিয়ে বাজে কোন কিছু কল্পনা করতে পারবেন না।

আপনি অমিতাভ বচ্চন স্যারের কথা ভাবুন, তার ব্যক্তিত্বটা কি? তাকে নিয়ে আমরা কোন কিছু নরমাল ভাবতে পারিনা, তিনি সব সময়ই হাই লেভেলে। তাই আপনি আপনার গার্লফ্রেন্ড, মানে আপনি যাকে পটাতে চাইছেন, তার সামনে নিজের একটি সুন্দর ও পৃথক ব্যক্তিত্ব তুলে ধরার চেষ্টা করুন। কারো অনুসরণ করে নয় সেটা যেন আপনার মাঝে পূর্ব থেকেই থাকে। তাহলে শুধু আপনার পছন্দের মানুষ কেন, পৃথিবীর যে কোন মেয়ে আপনার পিছে পড়ে যাবে, আপনার প্রেমে হাবুডুবু খাবে। 

নাম্বার -২: বুদ্ধিমানের পরিচয় দেওয়া। একটা মানুষ তো আর দু একদিন দেখে আরেকটা মানুষকে বিচার করতে পারবে না, যে সে কতটা বুদ্ধিমান বা চালাক। কিন্তু মেয়েরা ২, ১ ঘন্টা কথা বলেই আন্দাজ করে নেয় যে আপনার মাঝে কতটুকু গভীরতা আছে। তো যদি আপনার মাঝে আউট নলেজ থাকে তাহলে তো আপনি যেকোন পরিবেশেই সামাল দিতে পারবেন। যদি আপনার মাঝে আউট নলেজ কম থাকে বা সে সময় মাথায় না আসে। তাহলে তার কাছে বুদ্ধিমানের পরিচয় দেওয়ার উপায় হল ও প্রয়োজনীয় বা ফালতু কথা না বলা।

বন্ধুরা বেশি কথা বলা স্মার্টনেসের লক্ষণ নয়। যারা জ্ঞানী, তারা কম কথা বলে তারা চুপ থাকে। আপনার পছন্দের মানুষটির সামনে পরিস্থিতি মোতাবেক প্রয়োজনীয় কথা বলুন। বাড়তি কথা একদম বলবে না। তবেই মেয়ের আপনাকে বুঝতে সময় লাগবে, আপনার ব্যাপারে ভাবতে সময় লাগবে, আর যতোটা সময় আপনাকে নিয়ে ভাববে, আপনার ততো লাভ। আশা করছি আর কিছু বলতে হবে না। 

নাম্বার -৩: যে জিনিসটা আপনার মাঝে নেই, সেটা দেখাতে যাবেন না বা সেটা নিয়ে কথা বলবেন না। বন্ধুরা পছন্দের মানুষটিকে পটানোর জন্য অনেকেই অতিরিক্ত ভাব বা মুড নিজেকে অজান্তেই প্রকাশ করে ফেলে। কিছুদিন আগে আমরা তিনটা ফ্রেন্ড মিলে বাহিরে গিয়েছিলাম তো আমাদের সামন দিয়ে দুইটা ছেলে আসতেছে। ছেলে দুটো আমাদের দেখে তাদের হাঁটার স্টাইল পরিবর্তন করে ফেলল।

আর এমন মনে হচ্ছিল যেন কাঁক হয়ে ময়ূরের মতো হাটার চেষ্টা করছে। আরে বাবা আপনি সৃষ্টিগত ভাবে যেমন তেমন টাই থাকুন। তাতেই যদি কোন মেয়ে আপনাকে পছন্দ করে তাহলে সেই তো আপনাকে প্রকৃত ভালোবাসে। কোন মেয়ের জন্য আপনার বাস্তবতাকে লুকিয়ে তাকে ইমপ্রেস করে কি লাভ? দুদিন পর তো ঠিকই ধরা খাবেন। শীতের সময় সবাই গায়ে অতিরিক্ত জামা কাপড় পড়বে এটাই স্বাভাবিক তাই না?

কিন্তু আপনি যদি মেয়েকে ভাব দেখানোর জন্য শুধু একটা টি-শার্ট পরে বাইরে বের হন, মেয়ের সামনে যান তাও আবার হিরো আলম মার্কা বডি নিয়ে। তাহলে আপনারাই বলুন কোন মেয়ে এই ছেলের দ্বারা ইমপ্রেস হবে। তাই আপনি যেমন আছেন তেমনই থাকার চেষ্টা করুন দেখবেন আপনার পছন্দের মানুষটির কাছে ধীরে ধীরে ভালো লাগতে শুরু করেছেন আর ভালোলাগা থেকেই তো ভালোবাসা হয় তাইনা।

কি বন্ধুরা ঠিক বললাম তো? তো বন্ধুরা আজকে এ পর্যন্তই আবারও দেখা হবে নতুন কোনো আলোচনা নিয়ে। আর হ্যাঁ আপনারা যদি কমেন্ট না করেন তাহলে কিভাবে বুঝবেন যে কে কে আমাদের পাশে আছেন। এজন্য আলোচনাটি কেমন লাগলো তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন বাই। 

Related posts

Leave a Comment