মেয়েদের বশ করার পুরনো কিছু টেকনিক
এভাবে কাজ করুন ১০০% মেয়ে পটবে….
হাই গাইস, বন্ধুরা কথায় আছে, যে পুরনো চাল নাকি ভাতে বাড়ে। যতই যুগের পরিবর্তন হোক, যতই নতুন কিছু আবিষ্কার হোক, কিছু কিছু পুরনো জিনিস এখনো হান্ড্রেডে হান্ড্রেড কাজে আসে। এজন্য আজকের আলোচনাতে আমি মেয়েদের বা ছেলেদের ইমপ্রেস করার পুরনো কিছু টেকনিক, পুরনো কিছু কৌশলের কথা বলবো, যেগুলো আমাদের বাপ-দাদারা বা তার বাবারা ইউজ করত এবং যেগুলো ১০০% কার্যকরী। সে সময় তারা বুঝতে কম বা তারা আধুনিক ছিলনা এজন্য এই কৌশলগুলো তারা হয়তো ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারেনি বা কাজ হইতে সময় লেগেছে।
কিন্তু এখনকার ছেলে মেয়ে সবাই আধুনিক, সবাই বোঝে। তো আগের সেই ট্রিক আর এখনকার বুদ্ধি বা চালাকি দুটো মিলিয়ে যদি এই কৌশল গুলো ইউজ করেন, তাহলে আপনি অব্যশই সাক্সেস পাবেন। আমি ১০০% গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি যে আপনি আপনার কাজে সফল হবেনই। এজন্য আলোচনাটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন, আমি আশা করছি আপনার ভালো লাগবে, কোনো না কোনো টেকনিক আপনার অবশ্যই কাজে আসবে।
১। মিনিমাম একটা নির্ধারণ করার মাধ্যমে। বন্ধুরা আমাদের বাপ দাদার আমলে তারা যখন কোন মেয়েকে পছন্দ করেছে, তখন সেই মেয়েকে তার মনের কথা জানাতে বা পছন্দের কথা জানাতে ৫-৬ মাস বা বছর লাগিয়ে দিয়েছে। এতদিন শুধু তাকে ফলোই করেছে তার সাথে চোখাচোখি করেছে, এতেও তাদের কাজ হয়েছে কারণ পদ্ধতিটা ছিল কাজের।
কিন্তু বর্তমানে কম্পিটিটর বেশি, সে ময় একটা মেয়ের পিছে একজনি পড়ে থাকত। কিন্তু এখন একটা মেয়ে বা ছেলের পিছে হাজারটা ছেলে মেয়ে পড়ে থাকে। তো এখন যদি আপনি আপনার মনের কথা জানাতে এক মাস সময়ও লাগান, ততোদিনে অন্য কেউ তার মনের কথা জানিয়ে তাকে উড়িয়ে নিয়ে যাবে। এজন্য একটা সময় নির্ধারিত করতে হবে, যে ৭দিন বা ৫দিন আপনি তাকে ফলো করবেন, তার সাথে চোখাচোখি করবেন, তাকে দেখে মুচকি হাসি দিবেন, মানে সাত দিনেই আপনি তাকে বুঝাবেন যে আপনি তাকে পছন্দ করেন, তাকে ভালোবেসে ফেলেছেন।
আর এই পুরনো পদ্ধতিটা খুবই কার্যকরী সরাসরি মেয়েকে ভালোবাসার কথা বলার চাইতে। কারণ মেয়েরা ছেলেদের এমন করাকে পছন্দ করে এবং এটা রিলেশন হওয়ার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা অধ্যায়। এজন্য আপনি ৫ দিন বা ৭ দিন সময় নির্ধারণ করবেন তাকে ফলো করার জন্য, আপনার মনের কথা তাকে বুঝানোর জন্য তারপর তাকে সরাসরি গিয়ে বলবেন।
২। আলগা লেজের মাধ্যমে। বুঝিয়ে বলছি মনোযোগ দিয়ে শুনুন। প্রত্যেকটা ছেলে মেয়ের সাথে কিন্তু একটা করে লেজ ঘোরাফেরা করে মানে ফ্রেন্ড বা চেলা ঘোরাফেরা করে। তো আপনি একটু কষ্ট করে ওই লেজটাকে খুজে বের করুন, যে সব সময় তার পাশে থাকে, যেই চেলার কথা সে খুব শোনে বা মানে। ভাবছেন এমন ফ্রেন্ড যদি না থাকে! অবশ্যই আছে প্রত্যেকটা ছেলে মেয়েরই আছে। তো আগের যুগে কিন্তু কেউ তার মনের কথা সরাসরি মেয়েকে বা ছেলেকে বলতে পারতো না, এজন্য তার সাথে যে চেলা ঘোরাফেরা করতো তার মাধ্যমে বলতো, তাকে আগে পটাত।
আপনাকেও এগজ্যাক্টলি এটাই করতে হবে। আপনার পছন্দের মানুষের সেই লেজটাকে খুঁজে বের করে। একটু বাদাম, মটর ভাজা, চকলেট খাইয়ে তাকে বলুন, যে আপনি তার ফ্রেন্ডকে পছন্দ করেন বা খুব ভালোবাসেন, ব্যাস আপনার কাজ হয়ে গেছে। এবার ওই চেলা তার ফ্রেন্ডকে গিয়ে বলবে যে ওই! তোকে না একটা ছেলে বা একটা মেয়ে না তোকে খুব পছন্দ করে। ছেলেটা খুব ভালো বা মেয়েটি খুব সুন্দর রে। এভাবে তার কানে ফুসলাতে থাকবে আর আপনার কথা ওই মেয়ে বা ছেলের মনে গেঁথে যাবে। আর আমার মনে হয় রিলেশন হওয়ার জন্য এতোটুকুই জরুরী। সো যাকে পছন্দ করেন তার চেলাকে বা তার লেজটিকে পটিয়ে তার মাধ্যমে মনের কথাটি জানান।
৩। প্রতিদিন তার জন্য একটা জায়গায় চুপচাপ দাড়িয়ে থেকে তাকে দেখা, সে যেন বুঝতে পারে আপনি তার জন্যই দাঁড়িয়ে আছেন বা তার জন্য দাড়িয়ে থাকেন প্রতিদিন। বন্ধুরা এই কৌশলটির কথা আরো অনেক আলোচনাতে বলেছি। কারণ এটা আসলেই অনেক কার্যকরী একটা পদ্ধতি। আমাদের বাপ-দাদার যুগে তারা যখন কোন মেয়েকে পছন্দ করত, তারা কিন্তু দু চার মাস এক জায়গায় দাঁড়িয়ে, বা যাওয়া আসার পথে মেয়েটাকে দেখতো, তার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসত, এভাবে চলতো তাদের প্রতিদিনের কার্যক্রম।
আপনিও আপনার পছন্দের মানুষটির সাথে ঠিক এমনই করুন। বাট বাজে কোন ইশারা বা ওভার অ্যাকটিং যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। কারণ আপনি যার জন্য দাঁড়িয়ে আছেন সে ছেলে হোক বা মেয়ে তার মন অলরেডি বুঝে গিয়েছে যে আপনি তার জন্যই দাঁড়িয়ে থাকেন এজন্য বি কেয়ারফুল। আর এই পদ্ধতিটা খুবই কার্যকরী, হান্ড্রেডে হান্ড্রেড কাজ করবে আপনি চাইলে ট্রাই করে দেখতে পারেন।
৪। চিঠির মাধ্যমে। বর্তমানে চিঠির প্রথা একেবারেই নেই বললেই চলে, এজন্য এই পদ্ধতিটা বেশি কার্যকরী। আগের সময় কিন্তু চিঠির মাধ্যমেই সবকিছু হত। আর এটার যে কি পরিমান ইফেক্ট বা কি পরিমাণ প্রতিক্রিয়া কারো মনে পরে সেটা আপনারা অবশ্যই একটু হলেও জানেন। এজন্য আপনি যেই মানুষটাকে পছন্দ করেন তাকে যদি সপ্তাহে বা মাসে বা প্রতিদিন একটা করে চিঠি লিখতে পারেন তাহলে আমার মনে হয় সে যেমন মানুষই হোক না কেন আপনার প্রেমে পড়তে বাধ্য, আপনার কথা ভাবতে বাধ্য।
সেই চিঠি আপনি নিজে দিন, কারো মাধ্যমে দিন, তার বইয়ে রেখে রেখে আসুন অথবা কুরিয়ার করে দিন, যেভাবেই দিন শুধু কাছে পৌঁছালে আমি হান্ডেট পার্সেন্ট সিওর যে সে মানুষুট অবশ্যই পটবে। বন্ধুরা এই সবকটি পদ্ধতি কিন্তু আগের যুগে বা আমাদের বাপ-দাদাদের সময় ইউজ হতো এবং এগুলো একদম কার্যকরী পদ্ধতি। তো বন্ধুরা আলোচনাটি কেমন লাগলো তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। পরবর্তীতে নতুন কোনো আলোচনা নিয়ে আবার দেখা হবে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং নিজের খেয়াল রাখবেন গুড বাই।