বান্ধবীকে গার্লফ্রেন্ড বানানোর অস্থির মজার টেকনিক

বান্ধবীকে গার্লফ্রেন্ড বানানোর অস্থির মজার টেকনিক

হাই গাইস, ওয়েলকাম ব্যাক। কি খুব তেল জমে গেছে না? সত্যি করে বলবা পাবজি খেলতেছিলা, নাকি স্টার জলসা দেখতেছিলা? কতক্ষণ ধরে দরজায় দাঁড়ায় আছি ডাকতে ছিলাম কানে শোনো না? এভাবে কথা হতো আমার বান্ধবীর সাথে। খুব ক্লোজলি কথা হতো আমাদের মাঝে। এমন কোনো কথা ছিল না যেটা আমাদের মাঝে হয়নি। তারপর সেখান থেকে গার্লফ্রেন্ড, গার্লফ্রেন্ড থেকে ব্রেকআপ আরো অনেক ঘটনা। তো যাই হোক সেই বাস্তবতার মুখ থেকে আমি আপনাদের কিছু কথা বলব যে বেস্ট ফ্রেন্ড বা ফ্রেন্ডকে কিভাবে গার্লফ্রেন্ড বানাবেন এই বিষয় নিয়ে। আমি আপনাদের কিছু কৌশল শিখিয়ে দিবো যে কৌশলগুলো অবলম্বন করে আপনি আপনার বেস্ট ফ্রেন্ডকে গার্লফ্রেন্ড বানাতে পারেন। ও হ্যাঁ একটা কথা আলোচনার শেষে আমি আপনাদের কিছু ইম্পরট্যান্ট কথা বলবো যেগুলো জানা আপনার জন্য খুবই জরুরী। যদি সেগুলো না জানেন তাহলে যেকোন সময় আপনি বিপদে পড়তে পারেন এজন্য কথাগুলো অবশই শুনবেন। 

প্রথম স্টেপ: আপনার ব্যাপারে তার অপেনিয়ন কি এটা আপনাকে জানতে হবে। মানে আপনার ফ্রেন্ড আপনাকে নিয়ে কতটুকু ভাবে। আপনার জন্য কতটুকু সিরিয়াস, আপনাকে কতটা মিস করে, আপনি তার লাইফে কতটুকু জায়গা দখন করে আছেন, সে আপনাকে তার কতটুকু কাছের মনে করে এবং আপনার কথার বা আপনার কতটা মূল্য আছে তার কাছে এগুলো আপনাকে একটু ঠান্ডা মাথায় বসে বসে ভাবতে হবে একটু বুঝতে হবে। এগুলো না ভাবলে যে আহামরি কোনো সমস্যা হয়ে যাবে এমন কিছুই না। আমি এগুলো না ভেবে ঠকেছি কিন্তু আপনারা যেন না ঠকেন। এজন্য আপনাদের ভাবতে বলেছি এজন্য প্রথমে এই কথাগুলো বলছি। তো যখন আপনি দেখবেন যে আপনার ফ্রেন্ডের আপনার ব্যাপারে ওপিনিয়ন ভালো মানে উপরে যেগুলো আমি বললাম সবকিছু ঠিক আছে। তাহলে আপনি তাকে কোথাও নিয়ে গিয়ে সুন্দর একটা মোমেন্ট দেখে সুন্দর মুড দেখে সুনাদর করে প্রপোজ করে দিন আশা করা যায় কাজ হবে। যদিও তৎক্ষণাৎ কাজ না হয় তাহলে দু একদিন দেরি করবেন দেখবেন কাজ হয়ে যাবে। কিন্তু যদি আপনার ব্যাপারে তার ওপেনিয়ন খুব ভালো না হয় উপরে যেগুলো বললাম সেগুলো অধিকাংশ আপনার ব্যাপারে তার নেগেটিভ হয়ে থাকে তাহলে এখনি প্রপোজ করার দরকার নেই। আরেকটু সময় আপনাকে ওয়েট করতে হবে তার সাথে আর একটু সময় কাটাতে হবে। তো চলুন পরের স্টেপে যাওয়া যাক। 

স্টেপ -২: চরম পর্যায়ে ফ্লার্টিং করুন। বন্ধুরা সব সময় মনে রাখবেন যে মেয়েকে প্রপোজ করার আগে তার সাথে চরম পর্যায়ে হাই লেভেলে ফ্লার্টিং করবেন। আপনার ফ্লার্টিং দেখে সে যেন অন্য কারো কথা ভাবতেই না পারে এরকম ফ্লার্টিং করবেন। তু্ই জানিস? তোকে না আমার খুব ভালো লাগে। আমার মনে হয় তোর মত এমন সুন্দর মেয়ে আমি আর এক পিস কোথাও দেখিনি। যে তোর বয়ফ্রেন্ড হবে সে অনেক লাকি হবে রে। মাঝে মাঝে মনে হয় যে তোর জন্য মরতে পারলেও ভালো লাগবে। জানি না কেন জানি তোকে আমার এতোটা ভালো লাগে। ইচ্ছে করে তোকে বউ করে ঘরে নিয়ে আসি যেন ২৪ ঘন্টায় দেখতে পারি। আচ্ছা আমায় বিয়ে করবি? করো না আমি তোর খেয়াল রাখবো খুব ভালো খেয়াল রাখবো। এভাবে আপনাকে হাই লেভেলের ফ্লার্টিং করতে হবে এবং তার রিএকশন চেক করতে হবে। যে আপনার এমন কথা শুনে সে কেমন রিয়েকশন দিচ্ছে সে কেমন ফিল করছে। যদি দেখেন যে আপনার কথা সে ইনজয় করছে মজা নিচ্ছে তাহলে বুঝবেন আপনি অনেক দূর এগিয়েছেন। আর যদি দেখেন সে আপনার কথা সহ্য করতে পারছেনা আপনাকে বলতেছে যে দোস্ত এগুলো বলিস না আমার এগুলো ভালো লাগেনা। তখন বুঝবেন যে আপনার আরেকটু সময় ব্যয় করতে হবে। 

স্টেপ নাম্বার -৩: আপনি যে তাকে গার্লফ্রেন্ড বানাতে চান এই ভাবনাটা যেন সে জানতে না পারে। বন্ধুরা আমি এর আগে একটা কথা বলেছিলাম যে আপনি যখন একটা মেয়েকে পাগলের মতো ভালোবাসবেন তখন সে আপনার কাছে পাগলামিটাই এক্সপেক্ট করবে। আপনি যখন বুঝাবেন যে আপনি তাকে গার্লফ্রেন্ড বানাতে চান আপনি তার বয়ফ্রেন্ড হতে চান তখন সে আপনাকে পছন্দ করবে না অন্য ছেলের খুঁজবে। আপনার ভালোবাসা সে বুঝবেনা আপনার মাঝে আর কোন গুণ তার নজরে পড়বে না। এজন্য যে কোনভাবে আপনি এটা তাকে কখনোই বুঝতে দিবেন না যে আপনি তাকে গার্লফ্রেন্ড বানাতে চান বা আপনি তার বয়ফ্রেন্ড হতে চান। আপনি তার সাথে ফ্লার্টিং করছেন গার্লফ্রেন্ডের মত আচরণ করছেন তার সাথে এতোটুকুই যথেষ্ট আপনার জন্যে বাকিটা এমনি হয়ে যাবে। 

স্টেপ নাম্বার -৪: কিভাবে যে তাকে গার্লফ্রেন্ড বানাবো এই চিন্তা একবারেই করা যাবে না। বন্ধুরা আপনারা হয়তো অনেকেই দেখেছেন বা অনেকেই জানেন যে যখন কেউ নতুন অ্যাক্টিং করতে যায় তখন ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে অ্যাক্টিং করতে পারেনা। শুধু ক্যামেরার দিকে তাকায় এদিক-ওদিক তাকায় লোকজন দেখছে এমনটা ভাবে। ঠিক সেই সময় ডিরেক্টর অথবা কাছের কেউ বলে দেয় যে তুই মনে কর যে তোর সামনে কেউ নেই তুই একদম একা এটা মনে করে অ্যাকটিং কর। তো তখন দেখা যায় যে সে ফাটিয়ে দিচ্ছে। তো আমি আপনাদের এটাই বোঝাতে চাইতেছি যে যখন আপনি মনে মনে ভাববেন যে আমি ওকে কিভাবে পটাবো বা আমার গার্লফ্রেন্ড বানাবো তখন আপনার কিছু কিছু কাজ কিছু কিছু বিহেফ অটোম্যাটিকেলি একটা ছেলে একটা মেয়েকে পটাতে যেগুলো করে আপনিও সেগুলো করে ফেলবেন। আর সেটাই হবে আপনার জন্য ভুল পদক্ষেপ। তো এখন কথা হলো এসব বিষয়ে কিছু কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে সতর্ক থাকতে হবে সেটা হল যে আপনার যে কথা বা কাজের জন্য মেয়ে বিরক্ত হচ্ছে সে কথা বা সেই কাজটা তৎক্ষণাৎ এভোয়েড করতে হবে তখন তখনই ছেড়ে দিতে হবে। এমন কোনো অতিরিক্ত কথা বা কাজ করবেন না যেটাতে মেয়ে গার্লফ্রেন্ড তো দূরের কথা আপনাদের মাঝে বন্ধুত্বটাও নষ্ট হয়ে যায়। অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না এটা মনে রাখবেন। আর আমি আগেও বলেছি এখনও বলছি যে যদি ফ্রেন্ড হয়ে সবকিছু পাওয়া যায় তাহলে আমার মনে হয় না বয় ফ্রেন্ড হওয়ার দরকার আছে। বাকী আপনাদের ইচ্ছা যেটা ভালো মনে করেন সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন গুড বাই। 

Related posts

Leave a Comment