বয়ফ্রেন্ড থাকা মেয়েকে পটানোর আগে এটা জেনে রাখুন
সালাম বা নামাস্তে স্বাগতম আমাদের চিরকুট পরিবারে। বিনাপানি.কম এর পক্ষ্য হতে আমি সফিক আপনাদের নতুন দোস্ত। দোস্ত আজ আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি খুব important একটা বিষয় নিয়ে। আজ যে মেয়েকেই পটাতে জান তাতে প্রথম প্রবলেম হল যে আগে থেকেই মেয়েটার বয়ফ্রেন্ড থাকেই। তো তাতে কি? আমি আইয়া পড়ছি আপনাদের পাশে। দোস্ত বি এফ থাকা মেয়েকে পটানোর আগে আপনাকে কি কি করতে হবে বা কোন কোন বিষয়গুলো আপনার জন্য জানা খুব খুব খুব প্রয়োজন আমি আজ আপনাদের সেই বিয়য়গুলো জানাবো। পুরো বিষয়টি আমি ৭টি পয়েন্ট আকারে তুলে ধরবো। সো লেটস গো এন্ড সি দ্যা পয়েন্ট।
পয়েন্ট নাম্বার-১: তাদের সম্পর্কে ব্যাপারে জানুন: আপনার প্রথম কাজ হলো তাদের সম্পর্কের ব্যাপারে জানা। মানে হল, তারা কতদিন ধরে সম্পর্কে আবদ্ধ, একে অপরের সাথে মিল রয়েছে কতটুকু, ছেলেটা মেয়ের কেয়ার করে কিনা, তাদের মধ্যে ঝগড়া হয় কিনা? যদি ঝগড়া হয় তাহলে কি বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয় ইত্যাদি। তো দোস্ত আপনি যদি এগুলো জানেন তাহলে মেয়েটিকে পটানো খুব সহজ হবে।
পয়েন্ট নাম্বার-২: তাদের মাঝে বৈবাহিক প্লান আছে কিনা জানুন। অথবা তাদের রিলেশনের ফিউচার প্লান আছে কিনা? সে ব্যাপার জানুন: অধিকাংশ ক্ষেত্রে যেটা হয় যে ছেলে মেয়ে দুজনেই পাকা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে যে তারা বিয়ে করবে। তো এমন অবস্থায় আপনার তাদের মাঝে না যাওয়াই উত্তম। কারণ এখানে আপনার মেয়েকে পটাতে না পারার চান্স ৯৫%।
পয়েন্ট নাম্বার-৩: পারিবারিক ভাবে আবদ্ধ কিনা জানুন: মানে হলো এমন হয় যে দুজনার সম্পর্কটা এমন একটা জায়গায় এসেছে। যে তারা তাদের ফ্যামিলিকে তাদের সম্পর্কের ব্যাপারে বলেছে। আর তাদের ফ্যামিলিও তা মেনে নিয়েছে বা এমনও হয় তাদের ফ্যামিলি আগে থেকেই ডিসাইড করে রেখেছে যে তাদের বিয়ে করাবে। আর এতে ছেলে মেয়ে দুজনেই রাজি এবং ছোটবেলা থেকেই তারা একে অপরের সাথে ফ্যামিলিগত ভাবে মিশে। তাহলে সেখানে আপনার এন্ট্রি না নেওয়াটায় বেটার। আর এখানেও কিন্তু আপনার মেয়েকে পটানোর চান্স খুবই কম।
পয়েন্ট নাম্বার-৪: ছেলেটি কেমন? সে সম্পর্কে জানুন: কথায় আছে না যে নদীতে নামতে গেলে আগে কুমিরের ব্যাপারে জানতে হয়? ঠিক তেমনই মেয়েটির বয়ফ্রেন্ডটি কেমন সেটাও আগেই জানতে হবে। যেমন সে কি করে? নেশা করে কিনা? কোন বাজে ছেলেদের সাথে সম্পর্ক বা কোন রাজনৈতিক প্রভাব আছে কিনা? এগুলো জানাটা আপনার জন্য জন্য খুব important. তাহলে একদিকে যেমন মেয়েটিকে পটানো আপনার সহজ হবে। অন্যদিকে তার বয়ফ্রেন্ড কে কিভাবে সামলাতে হবে সেটিও জানতে পারলেন। নয়তো বা দেখা যাবে যে, মেয়েকে পটাতে গিয়ে নিজেও ধোলাই খেয়ে আসলেন। বুঝেছেন দাদা?
পয়েন্ট নাম্বার-৫: মেয়েটির উইকনেস মানে মেয়েটির দূর্বল দিকগুলো জানুন: কোনো মানুষকে আঘাত করা বলেন ভালোবাসা বলেন প্রতিশোধ নেওয়া বলেন এসব কিছুই সম্ভব তার দূর্বলতার ব্যাপারে জানলে। তাই মেয়েটির দূর্বলতার ব্যাপারে জানাটা আপনার জন্য খুবই জরুরী। যাতে আপনি তার দূর্বলতার সর্বোচ্চ ইউজ করতে পারেন। তবে হ্যাঁ এখানে মাথায় রাখবেন যে আপনি তাকে পটাতে যাচ্ছেন প্রতিশোধ বা আঘাত দিতে নয়। তাই শুধু তার দূর্বল দিকগুলো ভালোর দিকে ইউজ করবেন। তা না হলে কিন্তু আপনার পুংগি বেজে যাবে বুঝতে পেরেছেন? নেভার মাইন্ড ওকে? আমরা আমরাই তো। দোস্ত ভালোর দিকে বলতে যেমন ধরুন মেয়েটা হয়তো কোনো নায়ক বা অভিনেতার প্রতি খুব দূর্বল। তো এটা জানার পর আপনিও তার সামনে সেই নায়ক বা অভিনেতাটির প্রশংসা করুন। আপনিও যে তার ফ্যান এটা মেয়েকে বোঝান। এভাবে তার দূর্বলতাকে ইউক করুন। এতে মেয়েটাকে পটানো আপনার জন্য খুব সহজ হয়ে যাবে। তো চলুন পরের পয়েন্টে যাওয়া যাক।
পয়েন্ট নাম্বার-৬: আপনি যে মেয়েটিকে পটানোর প্লান করছেন এটা গোপন রাখুন: তার মানে হল আপনি তাদের ব্যাপারে যতোটা ইনফরমেশন বের করার চেষ্টা করছেন করুন। তাকে পটানোর জন্য যা যা করছেন করুন। এতে কোন সমস্যা নেই। বাট এ সবকিছু করবেন আড়ালে। আপনি যে গোপনে এসব করতেছেন এটা যেন তারা, তারা মানে ছেলে বা মেয়ে দুজনেই যেন বুঝতে না পারে। নইলে আপনার মেয়েটিকে পটানোর প্লান একেবারেই জলে যাবে। আরে ভাই মেয়ে পটাতে গেলে এতোটুকু করতেই হবে।
পয়েন্ট নাম্বার-৭: নিজের উপর কনফিডেন্স রাখুন: আপনি যা করতে যাচ্ছেন বা যা কিছু করার জন্য ভাবছেন এসবের জন্য নিজের মধ্যে খুব বেশি কনফিডেন্স রাখা প্রয়োজন। সাহস রাখা প্রয়োজন। কনফিডেন্স ছাড়া আপনি কোন কাজেই সফল হতে পারবেন না। তাই যতটা সম্ভব নিজের উপর আত্মবিশ্বাস রাখুন। আর ভাবুন যে ইউ ক্যান ডু ইট। একটা কথা মনে রাখবেন বস আপনার কনফিডেন্স যতো বেশি থাকবে মেয়েটিকে পটাতে পারার সম্ভাবনা ততোটা বেশি থাকবে। তো বন্ধুরা আজকের মতো এখানেই বিদায়। ভাল থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন। টাটা!