বড় আপুদের পটাতে চান? জেনে নিন ১০০%কার্যকরী ৫টি উপায়

বড় আপুদের পটাতে চান? জেনে নিন ১০০%কার্যকরী ৫টি উপায়

হাই গাইস, সবাই কেমন আছেন? বন্ধুরা আজকে আমরা আপনাদের জানাবো যে বড় আপুদের কিভাবে পটাবেন। সেক্ষেত্রে কিন্তু মেয়ে অবশ্যই বয়সে বড় হতে হবে। বন্ধুরা আমি শুধু আপনাদের সলিউশন বলে দেব যে কিভাবে বড় আপুদের ইমপ্রেস করতে হয় বা পটাতে হয়। বাট এটা কতটা যৌক্তিক কতটা ঠিক সেটা আপনাকেই বিচার করতে হবে। এতে কিন্তু আমার কোন মতামত নেই। আমি জাস্ট আপনাদের সলিউশন বলে দিবো আপনারা অনেকেই রিকোয়েস্ট করেছিলেন এই জন্য। পয়েন্টগুলো আপনাদের জানাবো তবে তার আগে বলে রাখি আলোচনাটির শেষে আপনাদের জন্য এই বিষয় নিয়ে বিশেষ কিছু কথা বলা হয়েছে। যেগুলো আপনার জেনে থাকা খুব জরুরি। তাই আলোচনাটি শেষ পর্যন্ত দেখবেন নইলে কিছুই বুঝতে পারবেন না। এবার চলুন পয়েন্টগুলো জেনে নেওয়া যাক।

১। কনফিডেন্স মানে আত্মবিশ্বাস: বন্ধুরা আপনি যদি আপনার চাইতে বয়সে বড় কোন মেয়েকে ইম্প্রেস করতে চান পটাতে চান তাহলে সর্বপ্রথম আপনার মাঝে যে জিনিসটা থাকতে হবে সেটা হল কনফিডেন্স, আত্মবিশ্বাস। এটা আপনাকে অবশ্য অবশ্যই রাখতে হবে। কারণ আপনার মধ্যে যদি আত্মবিশ্বাস না থাকে তাহলে আপনি কখনোই মেয়ের সামনে দাঁড়াতে পারবেন না। কথা বলতে পারবেন না আর কখনোই তার সাথে আপনার সম্পর্কও সম্ভব না। আর যখন আপনার মাঝে কনফিডেন্স থাকবে আত্মবিশ্বাস থাকবে যে আমি পারবো অবশ্যই পারবো। তখন আপনার জন্য খুব সহজ হবে মেয়েকে পটানো। এজন্য সব সময় ভিতরে কনফিডেন্স রাখবেন আত্মবিশ্বাস রাখবেন যে আিই ক্যান ডু ইট। 

২। বন্ধুত্ব করা: বন্ধুরা আমি আপনাদের প্রায়ই বলি যে যে কোন মেয়েকে পটাতে হলে আগে তার সাথে বন্ধুত্ব করতে হবে। ঠিক তেমনি আপনার চাইতে বয়সে বড় কোন মেয়েকে পটাতে হলে আপনাকে আগে তার সাথে বন্ধুত্ব করতে হবে। আর বন্ধুত্ব করতে গেলে আপনাকে কনফিডেন্স অবশ্যই রাখতে হবে। এজন্য আমি আপনাদের শুরুতেই বলেছি কনফিডেন্স এর কথা। যখন আপনার মেয়েটির সাথে বন্ধুত্ব হয়ে যাবে তখন রিলেশনের দরকার হবে না। তখন আপনি এমনি বুঝতে পারবেন যে আপনি কত দূর এগিয়েছেন। এখন বন্ধুত্ব কিভাবে করবেন সেটা আপনি আপনার দিকে থেকে চেষ্টা করে দেখুন। যদি কিছু খুঁজে না পান তাহলে এর পরের স্টেপ দেখুন তাইলেই বুঝবেন কিভাবে বন্ধুত্ব হবে। 

৩। সাজেশন মানে পরামর্শ চাওয়া: বন্ধুরা যদি আপনি আপনার চাইতে বয়সে বড় কোন মেয়েকে পটাতে চান তাহলে আপনাকে আগে বন্ধুত্ব করতে হবে। আর বন্ধুত্ব করার সবচাইতে সহজ উপায় হলো যে আপনি তার থেকে যে কোন বিষয়ে সাজেশন মানে পরামর্শ চাইবেন। বন্ধুরা মানুষের স্বভাব হলো পরামর্শ দিতে পছন্দ করে কিছু জানুক বা না জানুক। ঠিক তেমনি যখন আপনি আপনার যে কোন বিষয় নিয়ে তার থেকে পরামর্শ চাইবেন তখন সে নিজেকে একটু বড় মনে করবে আর আপনাকে খুব সহজ মনে করবে। আর এতে আপনাদের মাঝে একটা আন্ডারস্ট্যান্ডিং তৈরি হবে। যেমন ধরুন: মেয়েটি যদি আপনার তিন থেকে চার ক্লাস ওপরের হয় তাহলে তাকে পড়াশোনার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করবেন অথবা বলবেন যে আচ্ছা কোন বিষয় নিলে ভালো হবে সাইন্স নাকি আর্স ইত্যাদি। এমন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তার থেকে পরামর্শ চাইবেন। দেখবেন মেয়ে সব সময় আপনাকেই খুঁজবে। 

৪। ফানি কথা বলে মেয়েকে মজা দেওয়ার চেষ্টা করা: বন্ধুরা যখন একটা মানুষ ছোট থেকে বড় হয় তখন তার লাইফের চাহিদাগুলোও বাড়তে থাকে। যখন আপনি ক্লাস সিক্স থেকে টেন এর মধ্যে আছেন তখন কিন্তু আপনার মাথায় কোন টেনশন নাই একদম ফ্রি বিন্দাস থাকেন। কিন্তু যখন আপনি ইন্টার পার হবেন ডিগ্রি করবেন বা অনার্স করবেন তখন কিন্তু আপনার একটা দায়িত্ববোধ আসবে সিরিয়াসনেস আসবে। বিভিন্ন টেনশন মাথায় ভর করতে থাকবে। আর সেই সময়ই আমরা হাসতে ভুলে যাই আনন্দ ভুলে যাই। ঠিক তেমনি মেয়েও যখন এই পর্যায়ে থাকবে তখন তার ফ্রেন্ডস বা তার আশেপাশের লোকজনও কিন্তু এমনই হবে। এজন্য যখন আপনি সেখানে গিয়ে তাকে আনন্দ দিবেন ফানি কথা বলবেন তখন সে প্রচুর মজা পাবে। আর আপনি তার কাছে খুব পছন্দের একজন হবেন। খুব প্রিয় একজন হবেন যা আপনি কখনো ভাবতেও পারেননি। এজন্য মজা দিতে হবে ফানি কথা বলতে হবে।

৫। বাস্তবমুখী কথা বলা: বন্ধুরা যেহেতু মেয়েটি আপনার চাইতে বয়সে বড়। এজন্য আপনি যে অবস্থানে এখন আছেন সে অবস্থান সে আগেই পার করে এসেছে। আপনার চাইতে প্রত্যেকটা বিষয়ে তার এক্সপেরিয়েন্স অনেক বেশি। যে কোন বিষয়ে সে আপনার থেকে অনেক ভালো জানে। সে বুঝতে পারে যে কোনটা আবেগ আর কোনটা বাস্তবতা। আর তাই যখন আপনি তার সাথে কথা বলবেন তখন কোন ধরনের আবেগী কথা বলবেন না। বাস্তবমুখী কথা বলবেন যাতে করে মেয়ে আপনাকে অন্য সবার থেকে ডিফরেন্ট ভাবে। আর বড় আপুদের একটা স্বভাব হলো যে তারা যাকে ছোট মনে করে সে যদি কথায় তাদের মত হয় তাহলে এরকম ছেলেদের তারা বুদ্ধিমান মনে করে এবং অনেক লাইক করে। এজন্য সব সময় বাস্তবমুখী কথা বলবেন। দেখবেন মেয়ে আপনার প্রতি অবশ্যই আকৃষ্ট হবে। বন্ধুরা এখন আমি আপনাদের কয়েকটা সতর্কবার্তা বলবো। যেগুলো আপনাকে সব সময় মাথায় রাখতে হবে। প্রথম কথা হলো মেয়েকে কখনোই তার বয়সের কথা জিজ্ঞেস করবেন না এবং এমন কোন প্রসঙ্গ আনবে না যেখানে তর বয়স নিয়ে কথা হয়। আর দ্বিতীয় কথা হলো মেয়ে যেন কখনো বুঝতে না পারে যে আপনি সেক্সুয়াল বিষয়ে অনেক আগ্রহী। হ্যাঁ আপনি যে সে ব্যাপারে অনেক কিছু জানেন বোঝেন সেটা জানাতে পারেন। বাট আপনার যে সেই দিকে আগ্রহ আছে এটা যেন মেয়ে কখনো বুঝতে না পারে। এমন কিছু কিছু বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন। তো বন্ধুরা আজকের আলোচনা এ পর্যন্তই আলোচনাটি ভালো লাগলে শেয়ার আর একটা কমেন্ট করবেন। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং নিজের খেয়াল রাখবেন, গুড বাই। 

Related posts

Leave a Comment