গোপনে মেয়েদের মনে জায়গা করে নেওয়ার অসাধারন টেকনিক

গোপনে মেয়েদের মনে জায়গা করে নেওয়ার অসাধারন টেকনিক

জামাই আছে তবুও বউ পরকীয়া করে। বয়-ফ্রেন্ড আছে তবুও মেয়ে অন্য ছেলেদের ধান্দা করে। দেখেছেন না এমন মেয়ে? রহ রহ আছে। এর কারণ কি জানেন আপনারা? কারণ একটাই মনের চাহিদা, মন চেয়েছে তাই, অন্য আর কোন কারণ নেই। টাকা পয়সার অভাব নেই, জন সিনস এর মতো জামায়ও আছে।

প্রত্যেক রাতে পাশের বাড়ির ছেলেরা দরজায় কান লাগিয়ে দিয়ে ফিল করে তবুও তারা পরকীয়া করে, কেন মন চেয়েছে তাই, মনের চাহিদা তাই। আগে পিছে দম হেলানেওয়ালা কুত্তা ও সরি বয়ফ্রেন্ড আছে। একটু বাবু সোনা, গুলুমুলু বলবে আর ওর সামনে সোনার চেন, সোনার গহনা এনে দিবে এমন বয়ফ্রেন্ড আছে। অথচ মেয়ে অন্য ছেলের ধান্দা করে, কেন মন চাই তাই, মন চেয়েছে তাই। তো এতো সব রাম কাহিনীর আপনাদের কেন বলছি বুঝতে পারছেন? কারণ এটাই যে মেয়েদের মনে ঢুকতে হবে। মেয়েদের মনে ঢোকার যে কি ফায়দা, তা তো বললামই।

এখন কিভাবে ঢুকবেন সেই অস্ত্র আজ আমি আপনাদের দিয়ে দেবো। বন্ধুরা মেয়েদের মনে ঢোকার দুইটা রাস্তা, দুইটা অস্ত্র আছে। এক ইমোশনাল কথার মাধ্যমে, দুই হাতে নাতে কিছু করে। তো কথার মাধ্যমে কিভাবে মেয়েদের মনে ঢুকবেন সেই বিষয় নিয়ে এখন আলাপ করবো। যদি আপনি এগুলো ফলো করেন, আপনি বিশ্বের যে কোন মেয়ের মনের সিন্দুকে বসে চা ঢেলে দিতে পারবেন তাহেরীর আপনাকে আটকাতে পারবেনা। তো মেয়েদের মনে ঢোকার প্রথম অস্ত্র হলো: মেয়ের নিকনাম ইউজ করা।

কি হাসি পাচ্ছে মনে হয় যে আমি কি বলছি এসব? আপনি যেখানে আছেন সেখান থেকে যতদূর আপনার ইচ্ছা, এমন দশটা মেয়ে খুঁজে দেখান আমায়, যার একের অধিক যার এতের অধিক নাম নেই যার নিকনেম নেই। কখনো খেয়াল করেছেন যে এই নিক নাম ধরে কে ডাকে? সবথেকে কাছের মানুষ যারা আপন মানুষ যারা তারাই নিকনেম ধরে ডাকে। আপনিও একটু খুঁজে খুঁজে বের করুন তার নিকনেম, তার দ্বিতীয় কোন নাম যেটা তার খুব কাছের মানুষরাই শুধু জানে। তারপর সেই নাম ধরে খুব সুন্দর করে তাকে ডাকুন।

দেখবেন ইমোশনালি মেয়ে আপনার দিকে অ্যাটাচ হয়েছে। আপনারও তো কোন নিকনেম আছে দ্বিতীয় পুরনো কোন নাম আছে আপনিও একটু বসে ফিল করুন তাহলেই বুঝবেন। 

দ্বিতীয় অস্ত্র: চোখ দিয়ে পানি বের করা, কোন স্যাড স্টোরি শুনান, আমাদের প্রত্যেকের লাইফে কোনো না কোনো কষ্টের কাহিনী অবশ্যই থাকে, আপনি সেই কাহিনীটাকে একটু মাসালা দিয়ে খুব সুন্দর করে তাকে সোনান। যদি আপনি ফানি বান্দা হয়ে থাকেন তাহলে আপনার কাহিনীটা একটু বেশি মন ছুয়ে যাবে কারণ যারা সব সময় হাসি খুশি থাকে তাদের মুখ থেকে কষ্টের কথা শুনলে হৃদয় ছুঁয়ে যায় এই আর কি।

কেউ কষ্টে আছে তার হেল্প করতে হবে, আমাদের বেলায় আমরা মাথা দিয়ে ভাবি কিন্তু মেয়েরা মন দিয়ে ভাবে। আমরা সবাই বলি যে মেয়েরা ঠকে বেশি এর কারণ কি? তারা মাথা দিয়ে না সবকিছু মন দিয়ে বিচার করে মন দিয়ে ভাবে। যখন আপনি অস্থির কোন স্যাড স্টোরি তাকে শুনাবেন, তখন সে আপনাকে নিয়ে ভাবতে বাধ্য হবে। আর এভাবেই আপনি এমোশনালি তার মনে ঢুকে যেতে পারবেন। ভাই বললো এজন্য শুধু ঘনঘন স্যাড স্টোরিই শোনাবেন, এমন যেন আবার না হয়।

তৃতীয় অস্ত্র: ছোট বাচ্চার সাহায্য নিন। বন্ধুরা মেয়েদের মনের ইমোশনের অনেক বড় একটা জায়গা দখন করে থাকে ছোট বাচ্চা। মেয়েরা বাচ্চাদের খুব বেশি পছন্দ করে। আপনার বয়স বিশ আপনার ওয়াইফ ছেড়ে গেছে অথবা মারা গেছে, তিন বছরের একটা বাচ্চা আছে আপনার। আপনি কি আর বিয়ে করবেন না? অবশ্যই করবেন সাত দিনও যাইতে দিবেন না বিয়ে করবেন। কিন্তু ইতিহাসে এমন অনেক মেয়ে আছে যারা বাচ্চার দিকে তাকিয়ে আর কখনো বিয়ে করে নি বাচ্চাকে নিয়ে সারা জীবন কাটিয়ে দিয়েছে।

আমি আপনাদের সেই জায়গাটাতেই আঘাত করতে বলছি। যদি মেয়ের কোন ছোট ভাই থাকে, তাহলে আগে তার সাথে বন্ধুত্ব করুন, আপনার যদি কোন ছোট ভাই থাকে, অথবা ভাতিজা, ভাগিনা বা যে কেউ থাকে তাহলে তার কথা বলুন। তার গল্প করুন তার সাথে দেখা করান কথা বলান, বাচ্চাদের গল্প করুন, আপনি বাচ্চাদের কতটা ভালোবাসেন এগুলো বলুন। দেখবেন মেয়ের মনের সিন্দুকের রাস্তা আপনার জন্য পরিষ্কার হয়ে যাবে। 

চতুর্থ অস্ত্র: মেয়ের কাছ থেকে ছোট ছোট হেল্প নিন। বন্ধুরা যদি আপনি চান যে আপনি মেয়ের মনের সিন্দুকের তালা খুলবেন তাহলে আপনাকে এটা অবশ্যই করতে হবে। প্রয়োজন পড়লে তো নিবেনি, প্রয়োজন না পড়লে প্রয়োজন তৈরি করবেন। তারপরও মেয়েটির কাছ থেকে, ছোট ছোট হেল্প চাইবেন। তোমার কলিজা দিয়ে দাও, তোমার বাড়ি, ঘর লিখে দাও, টাকা হাওলাত দাও, এগুলো জানি আবার চেয়ে বইসেন না শুধু হেল্প নিবেন, হেল্প করবেন না, এমনও যেন না হয়। ছোট মটো হেল্প আপনিও করবেন এবং সেটা মেয়ের চাওয়ার আগে করতে হবে।

আর যখন এটা বারবার হবে তখন আর আপনাকে ভাবতে হবে না যে এখন আপনি কোন জায়গায় আছেন। বন্ধুরা সব সময় মনে রাখবেন, যে মেয়েরা ভাবে বেশি এবং সেটা মন থেকে ভাবে মাথা দিয়ে নয়। এজন্য আপনাকে নিয়ে সে যেন ভাবে, এজন্য তার ইমোশনকে হিট করতে হবে আর তার জন্য আমি যেগুলো বললাম এর থেকে বেস্ট আমার মনে হয় আর কিছু হয়না। আবার দেখা হবে নতুন কোন আলোচনা নিয়ে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং নিজের খেয়াল রাখবেন গুড বাই। 

Related posts

Leave a Comment