কি করলে যে কোন মেয়ের সাথে বন্ধুত্ব করতে পারবেন দেখুন ব্যাতিক্রম কিছু কৌশল-

কি করলে যে কোন মেয়ের সাথে বন্ধুত্ব করতে পারবেন দেখুন ব্যাতিক্রম কিছু কৌশল-

হাই গাইস, ওয়েলকাম ব্যাক। বন্ধুরা আজকে কি নিয়ে আলোচনা হবে তা হয়তো আপনারা অলরেডি বুঝে গেছেন। তাই বেশি কিছু না বলে শুধু বলবো যে আপনার মনে যেটা চলছে সেটা যেন কিছুতেই কাজে বা ফেঁসে প্রকাশ না পায়। মানে মেয়েটা যেন ভুলেও বুঝতে না পারে আপনি প্লান করে তার সাথে বন্ধুত্ব করতে এসেছেন। এমন ভাবে কাজগুলো করবেন যেন তার বাস্তব মনে হয় বা কোইন্সিডেন্স মনে হয়। এবার চলুন মূল কথায়। 

১। বন্ধুরা আপন যদি কোন মেয়ের সাথে বন্ধুত্ব করতে চান, তাহলে এটা কিন্তু তখনই সম্ভব যখন আপনার মেয়েটির সাথে বার বার দেখা হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে বা কথা বলার সম্ভাবনা থাকবে। এজন্য সর্বপ্রথম আপনাকে ভাবতে হবে যে, মেয়েটির সাথে আপনার আবারো দেখা হবে কিনা বা কথা হবে কিনা। যদি এমন হয় তাহলে আপনি আমাদের এই পয়েন্টুগুলো এপ্লাই করে এমন যে কোন মেয়ের সাথে বন্ধুত্ব করতে পারবেন। কেউ আটকাতে পারবে না। 

২। বারবার নজরে পড়তে হবে বন্ধুরা যখন আপনি কোন মেয়ের সাথে বন্ধুত্ব করতে যাবেন তখন দ্বিতীয় পর্যায়ে আপনাকে যেটা করতে হবে, মেয়েটার সামনে পড়তে হবে বারবার তার নজরে আসতে হবে সে যেন আপনাকে দেখতে পায়। আপনারা হয়তো অনেকবার দেখেছেন যে যখন আপনি একটা জায়গায় বারবার যান, তখন একটা লোকের সাথে বার বার দেখা হওয়ার কারণে তার সাথে একটা বন্ধুত্ব তৈরি হয়ে যায়। ঠিক তেমনি যখন আপনি বারবার মেয়েটির নজরে পড়বেন তখন তার সাথে কথা বলা আপনার জন্য খুব সহজ হবে এবং সেও আপনার সাথে কথা বলবে। 

৩। সম্পর্কের কোনো একটা সূত্র থাকতে হবে। বন্ধুরা এর অর্থ হলো যে মেয়েটির সাথে আপনার যে কোন দিকে থেকে একটা সম্পর্কের সূত্র থাকতে হবে। যেমন ধরুন: মেয়েটি যে কলেজে পড়ে আপনার কোন একটা ফ্রেন্ড সে কলেজেই পড়ে। তো আপনি আপনার সেই ফ্রেন্ড এর সূত্র অনুযায়ী তার সাথে কথা শুরু করতে পারেন। অথবা মেয়েটি যার কাছে প্রাইভেট পড়ে বা কোচিং করে সেই স্যারের কাছে আপনার কোন ছোট ভাই বা আপনার কোন রিলেটিভ পরে। এরকম কিছু কিছু সূত্র থাকতে হবে যাতে আপনি মেয়েটির সাথে সেই সূত্র ধরে কথা বলতে পারেন। আর যখন আপনার এরকম কোন সূত্র থাকবে তখন মেয়ের সাথে বন্ধুত্ব হতে আপনার খুব জোরে তিন দিন সময় লাগবে। এজন্য আপনাকে কোন একটা সূত্র খুঁজে বের করতে হবে অথবা শত্রু তৈরি করতে হবে। 

৪। মেয়েটির কিছু কিছু পছন্দের সাথে আপনার পছন্দের মিল হতে হবে। বন্ধুরা যখন আপনি কোন মেয়ের সাথে বন্ধুত্ব করতে যাবেন তখন আপনার এই টিপসটা সবচাইতে বেশি কাজে আসবে সেটা হলো যে মেয়েটির যেই জিনিসগুলো পছন্দ এমন কিছু কিছু পছন্দের বিষয় আপনার মাঝেও আনতে হবে। যেমন ধরুন: মেয়েটি কোন হিরোর অনেক বড় ফ্যান। অথবা কোন শিল্পীর গান খুব বেশি পছন্দ করে বা বই পড়া পছন্দ করে। তো আপনার মাঝেও এই জিনিসগুলোকে আনতে হবে। কারণ যখন তার পছন্দ এবং আপনার পছন্দ সেম হবে তখন সে এমনি বুঝে যাবে যে আপনিও তার মতোই। কারণ চোরই তো চোরকে চিনতে পারে তাই না? অথবা যখন আপনি তার সাথে একটু কথা বলার চান্স পাবেন। তখন আপনি তার সেই বিষয়গুলোকে নিয়েই কথা শুরু করবেন। দেখবেন আপনাদের বন্ধুত্ব এখানে কেউ আটকাতে পারবেনা। 

৫। হেল্প চাওয়া বা হেল্প করা। বন্ধুরা যে কোন মেয়ের সাথে বন্ধুত্ব করার সবচাইতে ভালো উপায় হলো তার থেকে কোন হেল্প চাওয়া অথবা হেল্প করা। এখন অনেক সময় যেটা হয় যে মেয়েটা হয়তো আপনার পূর্ব পরিচিত না। অথবা শুধু আপনি পছন্দ করেন সে আপনার ব্যাপারে জানে না। অথবা আপনার সাথে কখনো কথা বলে নি। তাহলে কি আপনি তার হেল্প করতে পারবেন? বা সেকি আপনার হেল্প করবে? করবে না। এজন্য আমি প্রথমে যে পয়েন্টগুলো বলেছি সেগুলোকে আগে ফলো করবেন তারপর এই পয়েন্টটা ফলো করবেন। আপনি যে কোন হেল্প চাইতে পারেন সে যদি আপনার ক্লাসের হয় তাহলে নোটস চাইলেন। যদি আপনার থেকে জুনিয়র হয় তাহলে আপনি তার কোন হেল্প করলেন। আর হ্যাঁ এই হেল্পগুলো কিন্তু এমনি ছোট ছোট বিষয় হতে হবে। ৫০০ টাকা চেয়ে হেল্প চাইলেন এমন যেন না হয়। পয়েন্টগুলো খুব ভালো করে মাথায় রাখবেন। আর হ্যাঁ এমন কাজ ভুলেও করবেন না যাতে মেয়ে বিরক্ত হয়। যদি মেয়ে আপনার কাজে বা কথাই ইরিটেট হয়ে যায় বিরক্ত হয়ে যায়। তাহলে সেখান থেকে ফিরে আসবেন। পরবর্তী আলোচনাতে আবার দেখা হবে সে পর্যন্ত ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন গুডবাই। 

Related posts

Leave a Comment