কিভাবে মেয়েদের চোখে অন্য ছেলেদের চাইতে স্পেশাল হবেন দেখুন
কেমন আছেন সবাই? বন্ধুরা আজকাল একটা মেয়ের পিছনে সব সময় অসংখ্য ছেলে ঘোরে। বাট মেয়েরা কিন্তু এদের মাঝ থেকে যে ছেলেটি সবার থেকে আলাদা তার সাথেই রিলেশন করে। সো বুঝতেই পারতেছেন যে আজকাল মেয়ে পটাতে গেলে আপনাকে অন্যদের থেকে আলাদা হওয়া কতোটা জরুরী। আর আজকে আমি সেটাই আলোচনা করবো যে, কিভাবে আপনি মেয়েদের চোখে অন্য ছেলেদের চেয়ে আলাদা হবেন।
১। ডোন্ট এক্সপেক্ট ফ্রম হার মেয়ের কাছ থেকে কোন কিছু আশা না করা। মেয়ে আপনার দিকে একটু তাকাইছে তো আপনি আর আপনার মাঝে নাই। মেয়ে একটু আপনাকে দেখে হেসে দিয়েছে তো আপনি তাকে নিয়ে ভাবনা শুরু করে দিয়েছেন বাচ্চার নামকরণ পর্যন্ত করে ফেলেছেন। যত মেয়ের উপর এক্সপেক্টেশন রাখবেন যত আশা রাখবেন ততো আপনি তাকে পটানোর জন্য ছ্যাসরামি করবেন। তখন আপনার বিহেভিয়ার দেখে মেয়ে এমনি বুঝে যাবে যে তার আশে পাশে যে আর দশটা ঘুরতেছে আপনিও তাদের মতোই ছেসরা। মেয়ের বয়ফ্রেন্ড থাকতেই পারে আপনার দিকে তাকানো এবং আপনাকে দেখে হাসার অন্য কোনো কারণ থাকতেই পারে। তো যখন আপনার মেয়ের উপর আশা কম হবে এক্সপেক্টেশন কম হবে তখন আপনার মনে হবে যে মেয়ে তো না পটলেই কি আর পাবো না? আর এই ভাবনাটাই আপনাকে অন্য সবার থেকে ডিফ্রেন্ট করে দিবে আলাদা করে দিবে। আরো কিছু বলতে হবে? আমার মনে হয় আপনি বুঝে গেছেন আমি কি বলতে চাচ্ছি।
২। অল্পতেই কথা শেষ করে দেওয়া। অনেক পরিশ্রম করার পর মেয়ের সাথে কথা বলার সুযোগ হয়েছে। তো সে যেন আপনাকে তার বেস্ট ফ্রেন্ড বানিয়ে নেয়। আপনার সাথে যেন অনেক ফ্রী হয়ে যায়। এজন্য তাকে বিভিন্ন আজেবাজে কথা বলা শুরু করেন। পার্সোনাল প্রশ্ন করেন, ফ্লার্টিং করেন, মেয়েকে ছাড়তে চান না। আর আপনার এসব দেখে মেয়ে বিরক্ত হয়ে যায় ইরিটেট হয়ে যায় এবং আপনাকে ইগনোর করা শুরু করে। দেখুন আপনি যে জায়গাটা নিতে চাচ্ছেন বয় ফ্রেন্ডের বা বেস্ট ফ্রেন্ডের। তো হতেই তো পারে যে তার আগে থেকেই কোন বয়ফ্রেন্ড বা বেস্ট ফ্রেন্ড আছে। এজন্য আপনাকে সময় দিতে হবে লেগে থাকতে হবে। আপনাকে মাথায় রাখতে হবে অন্যরা যেখানে কোনো একটা মেয়ের সাথে কথা শুরু করলে মেয়ে বাই না বলা পর্যন্ত কথা শেষ করতেই চায়না। সেখানে আপনাকে অন্যদের থেকে আলাদা হতে গেলে সব সময় আপনাকেই কথা শেষ করতে হবে। এতে মেয়েটি স্পষ্ট বুঝতে পারবে যে আপনি অন্যদের থেকে একদমই আলাদা এবং আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে সে যেন বিরক্ত না হয়। আর যখন আপনি এমনটা করবেন তখনই আপনি তার চোখে অন্য সবার থেকে আলাদা হবেন। এভাবে কিছুদিন চালান তারপর দেখবেন সে নিজের থেকে আপনাকে তার পারসোনাল কথা বলা শুরু করবে।
৩। না বলা বা তার বিপরীতে কথা বলা। বন্ধুরা এরকম অনেক বান্দা আছে যারা মেয়ে পটানোর চক্করে মেয়ের হার সাথে হা মিলায়। মেয়ে যদি ভুল কিছু বলে তারপরও সেটা ঠিক হ্যাঁ তোমার কথাই ঠিক হ্যাঁ তুমিই ঠিক। কোন একটা ব্যাপার নিয়ে মেয়ে আপনার সাথে আলোচনা করছে সে ভুল কিছু বলছে অথচ আপনি সেখানে হ্যাঁ বলে যাচ্ছেন। ভুলেও এমনটা করবেন না মেয়ে আপনাকে পুরো গাধা মনে করবে। এজন্য মেয়ের হার সাথে সব সময় হা মিলাবেন না। আপনার ওপেনিয়ন আপনার অভিমত ব্যক্ত করবেন। আপনি তার বয়ফ্রেন্ড হতে চান পালতু কুত্তা নয়। আর যখন আপনি এমনটা করবেন মাঝে মাঝে আপনি আপনার মতামত বলতেছেন তার কথার বিপরীতে কথা বলতেছেন তখনই বুঝতে পারবে যে আপনার মাঝে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সাহস আছে। আপনি যেকোন ডিসিশন নিতে পারেন এবং আপনার মাঝে একটা ম্যাচিউরিটি প্রকাশ পাবে। আর তখন আপনাকে অন্য সব ছেলের তুলনায় একদম ভিন্ন মনে হবে।
৪। সরাসরি চোখের দিকে তাকানো এবং মুচকি হাসি দেওয়া। বন্ধুরা স্বাভাবিক ভাবে কি হয় যে আমরা ছেলেরা যখন কোন মেয়েকে দেখি তখন কিন্তু তার চোখের দিকে তাকায় না অন্যকিছু দিকেই তাকায়। অনেকেই তো এমন আছে যে পা থেকে মাথা অব্দি দেখতে শুরু করে এবং এমন ভাবে তাকায় যেন মনে হয় সে চোখের মাধ্যমেই সব কিছু করে ফেলবে। আর মেয়ে যখন এই অবস্থা দেখে তখন আপনাকে অন্যদের মতোই কমন মনে করে। অধিকাংশ ছেলেই কিন্তু এমনটাই করে। এজন্য আপনি যদি এদের থেকে বিপরীত হতে চান একটু আলাদা হতে চান তাহলে যখন কোন মেয়ের দিকে তাকাবেন সরাসরি তার চোখের দিকে তাকাবেন এবং যখন সে আপনার দিকে তাকাবে তখন খুব সুন্দর করে একটু হেসে দিবেন। এগুলো আপনাকে মেয়ের চোখে অন্য ছেলের তুলনায় আলাদা করে তুলবে এবং যখন আপনি অন্য সবার থেকে আলাদা হবেন। তখন পৃথিবীর যেকোন মেয়েকে ইমপ্রেস করা আপনার জন্য বাম হাতের খেলা হয়ে যাবে। যদি কোন কথা খারাপ লাগে সেটা কমেন্ট করে বলবেন যে ভাই এটা ভালো লাগলো না এটা আপনি খারাপ বললেন বা ভুল বললেন। যারা আমাদের আলোচনাতে নিয়মিত কমেন্ট করেন তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। আর যারা কমেন্ট করেন না, না জানি তাদের কাছে আমি কি অপরাধে অপরাধী যে তারা কমেন্ট করে না। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন গুড বাই।