কিভাবে অহংকারী মেয়েকে পটাবেন জেনে নিন

কিভাবে অহংকারী মেয়েকে পটাবেন জেনে নিন-

হাই বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই? বন্ধুরা আজ আমরা কথা বলবো যে মেয়ে নিজেকে নিয়ে খুব অহংকার করে দেমাগ দেখায় তাদের কিভাবে পটাবেন? বা তাদের সাইজ করবেন কিভাবে? জি হ্যাঁ বন্ধুরা বিনাপানির পক্ষ্য হতে আমি সফিক আজ আপনাদের সাথে সে বিষয় নিয়ে কথা বলবো। তো বন্ধুরা এরকম অহংকারী দেমাগী মেয়েদের পটাতে গেলে প্রধান যে সমস্যাগুলো হয় আমরা সেই সমস্যাগুলোর কথা আপনাদের আগে বলবো। প্রথম যে সমস্যা হয় তা হলো: আমাদের কাছে শুধু একটাই চান্স থাকে তার সাথে কথা বলার বা তাকে পটানোর। আর এই প্রথম বারই যদি আমরা ফেল হয়ে যাই তাহলে তারপর তাকে পটানো খুব কঠিন হয়ে যায় খুব মুশকিল হয়ে যায়। দ্বিতীয় সমস্যা: আমরা ঐ মেয়ের সাথে কথা বলতে ভয় পাই। মেয়েকে দেখলে আমাদের হাত পা কাপা শুরু হয়। মনে হয় যে এতো সুন্দর মেয়ে আমার সাথে কথা বলবে? না জানি কি বলে। মনে মনে একটা ভয়ে থাকি যে এর তুলনায় তো আমি কিছুই না। তো তার সামনে যাবো কি করে। আবার উল্টো ঝাড়ি মারবে না তো? তো বন্ধুরা এমন সব প্রবলেম গুলোর কারণেই আমরা মেয়েকে পটাতে পারি না। আর সেই সুযোগে এমন ছেলে তাকে পটিয়ে নিয়ে যায়। যাকে দেখলে মনে হয় যে শালী তোর কপালে কি চোখ ছিলো না? এমন গাঁজা খোর কেই তোর পছন্দ হইলো? বন্ধুরা এখানে মেয়েটির কোন দোষ নেই দোষটা আপনারই। কারণ আপনি আগে কেনো গেলেন না পটাতে? এজন্য যে সুযোগ পেয়েছে সেই চান্স মেরে নিয়েছে। তো বন্ধুরা এখন আমি এই সমস্ত প্রবলেমের সল্যুশন মানে এর সমাধান বলে দিবো যেগুলো আপনাকে এমন অহংকারী দেমাকি মেয়েকে সাইজ করার জন্য কাজে আসবে। 

১। বন্ধুরা সর্বপ্রথম আপনাকে যেটা করতে হবে সেটা হলো যে আগে দেখতে হবে যে মেয়েটার এতো অহংকার এতো দেমাগ কি নিয়ে। সে কি নিজেকে বেশি সুন্দরী মনে করে? নাকি নিজেকে সবার চাইতে বেশি বুদ্ধিমতি মনে করে। নাকি মনে করে যে সব মেয়ের থেকে সেই বেস্ট। তো যেজন্যই সে অহংকার করুক আপনাকে সেই কারণগুলো খুঁজে বের করতে হবে এবং সেগুলো আপনাকে ভালো করে স্মরণ রাখতে হবে। কেনো এগুলো খুঁজে বের করতে হবে এবং কেন স্মরণ রাখতে হবে এটা আমি আপনাদের দুই নম্বর পয়েন্টে গিয়ে বলছি। 

২। বন্ধুরা মেয়েটা কি নিয়ে অহংকার করে এটা আপনাদের স্মরণ রাখতে বলেছি এজন্যই। কারণ এগুলোই হলো মেয়েটির উইক পয়েন্ট মানে দূর্বলতা। আপনাকে এখন তার সমস্ত উইকনেসকে মানে তার সমস্ত দুর্বলতাকে পুরোপুরি ইউজ করতে হবে কাজে লাগাতে হবে। বোঝেন নি তো? আচছা চলুন বুঝিয়ে বলছি। যেমন ধরুন মেয়েটি যদি তার রূপ নিয়ে অহংকার করে তাহলে আপনি তার রূপের প্রশংসা করুন। যে হ্যাঁ আপনি সবার থেকে সুন্দর। আপনার মতো সুন্দরী মেয়ে আর একটাও নেই এই পৃথিবীতে। অথবা যদি তার অহংকারটা তার বুদ্ধি নিয়ে হয় তাহলে তার বুদ্ধিমত্তার প্রশংসা করুন। যে হ্যাঁ ইয়ার আপনি খুব ব্রিলিয়ান্ট আপনার মতো ব্রিলিয়ান্ট আর কেউ নেই আপনি সবার থেকে বেস্ট ইত্যাদি। এভাবে আপনাকে তার দূর্বলতাকে ইউজ করতে হবে। আর কিছু বলতে হবে। তাহলে চলুন পরের পয়েন্টে। 

৩। শক্ত কোন বাহানায় তার সাথে কথা বলতে হবে। জি হ্যাঁ বন্ধুরা আপনাকে তার সাথে কথা বলতে হবে কোন জেনুইন বাহানায় যে বাহানাটা একদম শক্ত হবে। যেমন ধরুন: যদি মেয়ে আপনার কলেজের হয় বা আপনার স্কুলের হয় তাহলে তার থেকে কোন গাইড বা নোটস চাওয়ার বাহানায় কথা বলতে পারেন। মোট কথা তার সাথে কথা বলতে গেলে আপনার বাহানাটা একদম জেনুইন হতে হবে। সে যেনো বুঝতে ‍না পারে যে আপনি তাকে পটানোর জন্য এসেছেন। দাদন যদি সে বুঝতে পারে যে আপনি তাকে পটানোর জন্য এসেছেন তাহলে আপনি তাকে আর কখনো পটাতে পারবেন না। অপ গায়ে কামসে। 

৪। তাড়াহুড়া করা যাবে না। খুব ধীরে ধীরে এগোতে হবে স্লোলি স্লোলি অ্যাপ্রচ করতে হবে। মানে হলো প্রথম দিন তার সাথে একটু কথা বললেন। তারপরের দিন আর একটু কথা বলবেন। তৃতীয় দিন আর একটু কথা বললেন। এভাবে আপনাকে আস্তে আস্তে এগোতে হবে। যদি ফেসবুকে তার সাথে আলাপ হয় তাহলে হুট করে তাকে এস এম এস করবেন না। আগে একটু কথা বলবেন তারপর আর একটু কথা বলবেন। এভাবে আস্তে আস্তে আপনাকে তার মনে জায়গা করতে হবে। হুট করে একদিনে সব কিছু বলে ফেলবেন এমন যেন না হয় তাহলে মেয়ে কখনো আপনার দ্বার ইমপ্রেস হবে না। উল্টো আপনাকে দুচার কথা শুনিয়ে দিবে আবে তাড়াহুড়া কেঠায় করে এটাতে শয়তানের কাজ আপনি তো লক্ষি ছেলে না? তো বন্ধুরা এই ছিলো আমাদের আজকের আলোচনা। পরবর্তী আলোচনায় আবারও কথা হবে। যদি আলোচনাটি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর যদি কোন মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না। বন্ধুরা ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের প্রতি খেয়াল রাখবেন সেই প্রত্যাশাই বিদায় নিলাম। গুডবাই। 

Related posts

Leave a Comment